শিরোনাম: শেষ চিঠি
চারদিকে নীরবতা। যেন শহরের কোলাহলও আজ ক্লান্ত হয়ে গেছে।
সে প্রতিদিন এই বেঞ্চটায় এসে বসে। একদম নির্দিষ্ট সময়ে, বিকেল চারটা।
এক কাপ চা হাতে নিয়ে সে তাকিয়ে থাকে সামনের রাস্তার দিকে—যেদিকে কেউ আর ফেরে না।
সে মানে—একজন মানুষ, যার নাম আজ আর কেউ উচ্চারণ করে না।
তবে একদিন, কেউ ছিল।
একজন মেয়ে। যার হাসি ছিল বসন্তের মতো, আর চোখে ছিল একরাশ প্রতিশ্রুতি।
তাদের দেখা হয়েছিল একটি বইমেলায়।
মেয়েটি বলেছিল,
"তুমি কেমন লেখো?"
ছেলেটি লজ্জা পেয়ে বলেছিল,
"বেদনার মতো।"
সেই থেকে শুরু। প্রতিদিন তারা একসাথে হেঁটেছে, গল্প করেছে, স্বপ্ন এঁকেছে।
কিন্তু জীবন তো কেবল প্রেমে বাঁধা থাকে না।
একদিন খবর এলো—মেয়েটার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
একটা স্থির, নির্ধারিত জীবন তাকে ডেকে নিচ্ছে।
সে বিদায় বলতে পারেনি। কেবল একটি চিঠি রেখে গেছে ছেলেটার জন্য:
> “তোমার মতো কেউ আর আসবে না, জানি।
কিন্তু আমার মতো কাউকে তুমি আর আসতে দিও না, প্লিজ।
কারণ তারা যদি একটুও ভালোবাসে তোমাকে, তাদের হৃদয়ও পুড়ে যাবে—আমার মতোই।
বিদায়… শেষ চিঠি।”
সেই চিঠিটা এখনো ছেলেটা সঙ্গে নিয়ে বেঞ্চে বসে থাকে।
যতবার আকাশ মেঘে ঢাকা পড়ে, সে ভাবে—আজ বোধহয় মেয়েটা কাঁদছে।
আর যতবার বৃষ্টি নামে, সে মনে মনে বলে—
“তোমার অশ্রু আমি অনুভব করি আজও।”
বলা হয়, প্রেম চিরন্তন।
তবে বিরহ—সে তো চিরস্থায়ী।
একটি চিঠি, একটি নামহীন সম্পর্ক, আর এক নিঃসঙ্গ বেঞ্চে—
এই ছিল ভালোবাসার অবশিষ্ট স্মৃতি।
প্রিয় পাঠক বিন্দের কাছে আমার প্রশ্ন:
__আপনাদের জীবনের এমন কোনো চিঠি আছে, যেটা আজও হৃদয়ে পোড়ে?”
অনেক চিঠি ছিল আমার কাছে, সময়ের গহরবারে হারিয়ে গিয়েছে।
উত্তরমুছুন